স্বদেশ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে পুলিশ কোনো চিন্তা করে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার হাবিবুর রহমান। আজ সোমবার বেলা ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা জানান।
এ সময় সাংবাদিকরা ডিএমপি কমিশনারকে বলেন, একটি রাষ্ট্র থেকে ভিসানীতির ঘোষণা এসেছে। পুলিশ নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে যদি পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করে তাহলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। এটা নিয়ে পুলিশ বাহিনীর ভেতরে কোনো ধরনের প্রভাব বা আতঙ্ক রয়েছে কি না। থাকলে আপনারা মনোবল চাঙ্গার জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নেবেন?
এর উত্তরে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি নির্বিঘ্নে বলতে চাই। একটি দেশের ভিসানীতি কি হবে এটি তাদের বিষয়। এটা নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের চিন্তার কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না। আমাদের সদ্যবিদায়ী প্রধান বিচারপতি বলেছেন, আমি কোনদিন… একটি দেশের নাম উল্লেখ করে বলেছেন, আমি কোনদিন ওই দেশে যাই নাই, আমার যাওয়ার ইচ্ছাও নেই। উনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন।’
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘আমি যোগদান করে আমার পুলিশের ভেতরে এ রকম কোনো চিন্তার বিষয় দেখি নাই। এটি একটি পর্যায়ের ব্যবস্থা। সংগঠন পর্যায়ের কোনো ব্যবস্থা নয়। সংগঠন হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সবসময়ই ঢাকাবাসীর জন্য এবং ঢাকার জনগণের জন্য, নিরাপদ ঢাকার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তারা (পুলিশ) এগুলো নিয়ে কোনো চিন্তা করে না।’
নির্বাচন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভিত্তি উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘জনগণ যাতে নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে, ভোট দিতে পারে সেজন্য যা যা প্রয়োজন ডিএমপির পক্ষ থেকে করা হবে।’
সেবার মান বাড়াতে হটলাইন প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ডিএমপির থানাগুলোতে সেবার মান বাড়াতে ‘মেসেজ টু কমিশনার’ হটলাইন সেবা চালু করা হবে। এই হটলাইনের সেবার মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা সরাসরি ঢাকা মহানগর কমিশনারের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। ভুক্তভোগীরা থানায় গিয়ে সেবা না পেলে যে কেউ কমিশনার বরাবর মেসেজ দিতে পারবেন। এ ছাড়া ডিবিতে (গোয়েন্দা পুলিশ) গিয়েও সেবা না পেলে যে কেউ মেসেজের মাধ্যমে সরাসরি আমাকে জানাতে পারবেন। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলব। সমস্যা সমাধান করব।’
পুলিশের ব্যক্তিগত অপরাধের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে, তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ হোক, পুলিশের বাবা হোক, অপরাধী অপরাধীই।’